Thursday 12 October 2017

তিনবিঘা করিডোর এর ইতিহাস

তিনবিঘা করিডোর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেঘলীগঞ্জ জেলা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত।উভয়দেশ তাদের ছিটমহলে যথাক্রমে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা (বাংলাদেশ)ও দক্ষিণ বেরুবাড়ীর(ভারত) যাতায়াত সুবিধার জন্য এটি  তৈরি করে।ভূমিটির মোট আয়তন তিন বিঘার সমান (১,৫০০ - ৬,৭৭১ বর্গমিটার)। এ থেকে এর নাম হয়েছে তিনবিঘা করিডোর।

১৯৭৪ এর ১৬ই মে ইন্দিরা গান্ধী-শেখ মুজিবুর রহমান এই চুক্তি করেন যে, ভারত তিনবিঘা করিডোর এর বিনিময়ে বাংলাদেশ এর নিকট থেকে দক্ষিণ বেরুবাড়ীর ২.৮৫ বর্গমাইল সার্বভৌমত্ব গ্রহন করবে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালেই ২.৮৫ বর্গমাইল দক্ষিণ বেরুবাড়ী ভারতের কাছে হস্তান্তর করে।
কিন্তু ভারত তিনবিঘা করিডোর হস্তান্তর করেনি।

২০১১ সালে ভারত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ইজারা হিসাবে দিয়েছিল এবং একই সময়ে দক্ষিণ বেরুবাড়ি ভারতের নিয়ন্ত্রণেই রেখে দেয় ।

২০১১ সালের পূর্বে দৈনিক ১২ ঘন্টা সময়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হত ফলে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার অধিবাসীরা সমস্যার সম্মুখীন হত । ২০১১ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার একটি চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে করিডোরটি ২৪ ঘন্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করিডোরটি উন্মুক্ত ঘোষণা করেন ২০১১ সালের ১৯শে অক্টোবর।